Posts

Showing posts from May, 2024

কাজা নামাজের বিবরণ ও নিয়ত

  কাযা নামাজের বিবরণ        কোন কারণে নামাজ ফউত হলে অর্থাৎ সময়মতো নামাজ পড়তে না পারলে পরে ওই নামাজ পড়তে হয়, তাকে কাজা নামাজ বলে। ফরজ ওয়াজিবের কাজা আদায় করতে হয়।          সুন্নাতের কাজা নেই, তবে ফজরের নামাজ কাজা হলে, দুপুরের মধ্যে পড়লে সুন্নাত সহ পড়বে। এক ওয়াক্ত কাজা হলে পরবর্তী ওয়াক্তে কাজা আগে আদায় করে ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়বে। তো পর্যন্ত ফৌত হলে তরতীব রক্ষা করতে হয়, এর বেশি হলে তোর তীব নেই,  সময় পেলে কাজে আদায় করতে হবে। দেরি করবে না। আর কাজা পড়ে তাওবা করবে। কাজা নামাজের নির্দিষ্ট সময় নেই, মনে হলে আদায় করবে, তবে নিষিদ্ধ সময় পরবেনা, আর ফৌত হবার কারণ দূর হলেই কাজা আদায় করবে।     ছ্বফরে নামাজ ভৌত হলে বাড়িতে পৌঁছে এর কাজা ক্বছ্বর আদায় করতে হবে। কাযা নামাজের নিয়ত উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আক্বদ্বিয়া লিল্লাহি তাআ'লা রাকাতাই ছ্বলাতিল ফাজরিল ফাইতাতি ফারদুল্লাহি তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ইল্লা জিহাতিল কায় বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার। (কাজা নামাজের নিয়াতে 'উছাল্লিয়া' স্থানে আক্বদ্বিয়া এবং ওয়াক্তের নামের পরিবর্তে 'ফ...

কোরবানির দোয়া এবং জবহের পরের দোয়া

কোরবানির দোয়া  উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা মিংকা ওয়া ইলাইকা ইন্না ছ্বলাতী ওয়া নুসুকূ ওয়া মাহ ইয়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রব্বিল আলামীন। লা শারীকা লাহ ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা আও ওয়ালুল্ মুসলিমীন। ( উপরোক্ত দোয়া পড়ে বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলে জবেহ করে নিম্নলিখিত দোয়া পড়বেন।) জবেহের পরের দোয়া উচ্চারণ :  আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন্নি কামা তাক্বব্বালতা মিন খলীলিকা ইবরাহীমা ওয়া হাবীবিকা মুহাম্মাদিন আলাইহিমাছ ছুলাতু ওয়াস সালামু। (নিজের কোরবানি যদি নিজে করে তাহলে মিন্নি বলবে। অন্য কোন ব্যক্তি কোরবানি করলে মিন্নির স্থলে মিন যোগ করে সেই ব্যক্তির নাম বলবে। আর যদি নিজের কোরবানি হয় অন্য কেউ শরিক হয়ে থাকে। তাহলে মিন্নি বলবে অতঃপর মিন যোগ করে তার শরীকদের নাম বলবে।)

নামাজের প্রকারভেদ

 ১) নামাজ কত প্রকার ও কি কি?      * নামাজ   পাঁচ প্রকার। যথা: ১) ফরজ ; ২) ওয়াজিব ; ৩) সুন্নাতে মিয়াক্কাদাহ ; ৪) সুন্নাতে গইর-মুয়াক্কাদাহ ;৫) নফল ; ২) নামাজের আহকাম আরকাম মোট কতটি ফরজ ও কি কি?        *  আহকাম আরকান ১৩ ফরজ, নামাজের ভিতর বাহিরে, ১) শরীর ২)কাপড় ৩)জায়গা পাক আর ৪) ছতর ঢাকা ৫) কিবলার দিকে মুখ করা ৬) ওয়াক্ত হলে নামাজ পরা ৭) নিয়ত সহ সাত ফরজ, আহকাম একে বলে। তাকবীরে তাহরীমা বলে নামাজ শুরু করতে হয়। খাড়া হয়ে।  কুরআন শরীফের কোন সূরা পড়তে হয়।  রুকু করা।  সিজদা করা।  শেষ বৈঠক এ বসা। ভিতরের এই পাঁচ ফরজকে আরকান বলে।  ৩) নামাজের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি?      নামাজের ওয়াজিব ২৭ টি। উক্ত ২৭ টি ওয়াজিব দুই রাকাত নামাজের মধ্যে ৪২ জায়গায় ব্যবহার হয়।  ৪) নামাজের সুন্নত কয়টি ও কি কি?    নামাজের সুন্নত ৫৩ টি উক্ত ৫৩ টি সুন্নত দুই রাকাত নামাজের প্রায় ১১৪ জায়গায় ব্যবহার হয়।  ৫) নামাজের কোন করণীয় কাজ ছুটে গেলে না করলে এবং কোন বর্জনীয় কাজ করে ফেললে কারা নামাজের কতটুকু ক্ষতি হয়...

আযানের দোয়া

  আযানের দোয়া : আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস সালাতিল কায়িমাতি আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাতা ওয়াদ দারজাতার রফিআতা ওয়াবআসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআত্তাহু ওয়ারজুকনা শাফাআতাহু ইয়াওমাল কিয়ামাতি ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিআদ। আজানের দোয়ার অর্থ: হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বানের ও স্থায়ী প্রতিষ্ঠিত নামাজের আপনিই প্রভু। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ওয়াসিলা ও সুমহান মর্যাদা দান করুন এবং তাঁকে ওই প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন আর কিয়ামতের দিন তাঁর সুপারিশ আমাদের নসিব করুন; নিশ্চয়ই আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।

যে কারনে ফরজ গোসল শুদ্ধ হয় না, এবং গোসলের নিয়ত।

  যে কারণে ফরজ গোসল শুদ্ধ হয় না :     গোসলের ফরজের মাধ্যে কোথাও পানি না পৌছালে শরীর পাক হয় না। যেমন নখে নখপালিশ থাকলে, কপালে টিপ থাকলে, কানে অথবা নাকে পানি না পৌঁছালে , অথবা কুলি করার সময় মুখের ভিতরে সব খানে পানি না পৌছালে শরীর পাক হয় না।    অতএব, এ রকম গোসলে নামাজ হতে পারে না। গোসলের নিয়াত:       নাওয়াই:তুল গুসলা লিরফয়িল জানাবাহ।

গোসলের ফরজ ও আহকামে শরীয়তগুলো কী কী?

  গোসলের ফরজ :        গোসলের ফরজ ৩টি। ১) গড়গড়াসহ কুলি করা। ২) নাকের মধ্যে পানি দেয়া। ৩) সমস্ত শরীর ধোঁয়া।  ধারাবাহিক ভাবে গোসলের আহ:কামে শরীয়ত গুলো হল : গোসলের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা মুস্তাহাব।  নিয়ত করা মুস্তাহাব।  কিবলা মুখি হয়ে গোসল করা মুস্তাহাব।  দুই হাত কব জ্বী পর্যন্ত ধৌত করা সুন্নাত।  একবার গড়গড়া সহ কুলি করা ফরজ। (রোজা ব্যতীত) ৩ বার কুলি করা সুন্নাত।  তিনবারের বেশি কুলি করা মাকরুহ। একবার নাকের ভিতরে পানি দেয়া ফরজ। তিনবার নাকের ভিতরে পানি দেয়া সুন্নাত।  তিনবারের বেশি পানি দেয়া মাকরুহ। শরীরের কোন স্থানে নাপাক থাকলে তা ধৌত করা সুন্নাত।  একবার সমস্ত শরীর ধোঁয়া ফরজ।  তিনবার সমস্ত শরীর ধোঁয়া সুন্নাত।  প্রয়োজনের বেশি পানি ব্যবহার করা মাকরুহ।  শরীর মেঝে ঘসে গোসল করা মুস্তাহাব।  নির্জন জায়গায় গোসল করা সুন্নাত।  গোসলের সময় কথা না বলা মুস্তাহাব।  মাঝামাঝি পরিমান পানি খরচ করা মুস্তাহাব।  গোসল শেষে উঁচু স্থানে পা রেখে ধোঁয়া (যদি বদ্ধ পানি হয়) সুন্নাত।  মোটা কাপর দিয়ে গা মুছা মুস্তাহাব...

ওজুর নিয়ত ও দুয়া

Image
  ওজুর নিয়তঃ       নাওয়াইতুয়ান আতা ওয়াদ্দু-আ লিরফ্য়িল হাদাছি, ওয়াস্তিবাহতাল লিছ্ব ছ্বলাতি ওয়া তাক্বর রুবান ইলাল্লা-হি তায়ালা ওজুর দুয়াঃ       বিসমিল্লাহিল আলিইয়িল আজ্বীম। ওয়ালা হামদুলিল্লাহি আলা দীনিল ইসলাম। আল ইসলামু হাক্কুওয়াল কুফরু বাত্বিল। আল ইসলামু নুরুওয়াল কুফরু জুলমাহ।

সুলাইমান (আ:) ও তিমি মাছের অবাক করা ঘটনা :

Image
  সুলাইমান (আ:) ও তিমি মাছের অবাক করা ঘটনা :       সুলাইমান (আ:) আল্লাহ কি বললেন, আল্লাহ গোটা  বিশ্বের সব প্রাণীকূলকে, পশুকূলকে,  মানবকূলকে, মৎসকুলকে, পাখি কুল কে, জিন কুলকে আমি একবেলা দুপুরের খাবার খাওয়াবো। আল্লাহ বলেন না, সুলাইমান এটা তোমার কাজ না। এটা আমার কাজ তুমি পারবা না। সুলাইমান (আ:) বললেন আমারে একটু চেষ্টা করতে দেন না। আমার মনে বড় শখ গোটা বিশ্বের বাদশা আমাকে বানায় দিলেন। আমি যদি সবার জন্য এক বেলা খাবার খাওয়াইতে পারতাম আমার কলিজার ঠান্ডা হয়ে যেত। পরে সুলাইমান (আ:) এর জড়াজড়ির কারণে, আল্লাহপাক বললেন ঠিক আছে দেখো চেষ্টা করে।        সাইয়েদেনা সুলাইমান (আ:) এর অনুসারী ছিল জ্বীনেরা, জ্বীনেরা উনার কথা শুনতো। সব জিনদেরকে নিয়ে বসালো, জিনদের সাথে গোল টেবিল বৈঠক। জ্বীনের বাদসারে বলল, জ্বীনের বাদশা আমি গোটা বিশ্বের সব প্রাণীকুলকে একদিনের দুপুরের খাবার খাওয়াবো। যাও সাগরের পারে চল্লিশ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে খাবারের আয়োজন করো। জ্বীনের বাদশা বিশাল বিশাল ডেগ পাতিল নিয়ে সমস্ত জিনদের নিয়ে রান্না করার কাজ শুরু করল। আফ্রি...